রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
আওয়ামী লীগ নেতা ভূমি দস্যু বিএনপিতে যোগ দিতে গিয়ে মারামারি।
কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, আহত ১০
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সমাবেশ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিএনপি একটি অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন শুভাঢ্যা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। নেত্রীর থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের আহবায়ক মোল্লা ফারুক হাজার খানেক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে পৌঁছলে স্থানীয় বিএনপি নেতা শাকিল ও ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুকের লোকজন তাতে বাধা প্রদান করে।
এ সময় মোল্লা ফারুকের মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। মিছিল কারিরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে পালানোর সময় লাঠি সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় রঞ্জন (৩৫) , সামসু (৪২), দুলাল (৪৫),মাসুম (৪০),আমির হোসেন (৪৩),কালন (৩০), মোঃ হোসেন (২৪),ইয়াসিন (২২), মনসুর (৩০) রানী বেগম (৫০) আহত হয়।
হামলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা ফারুক বলেন, আমি স্থানীয় শান্তিনগর এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি। পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় কে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মিছিল সহকারে সমাবেশে যাওয়ার সময় আমাদের উপর হামলা করা হয়। পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যদের অনুরোধে এবং নেত্রীর গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই আমি সমাবেশে গিয়েছিলাম। তবে কি কারণে হামলা এটা আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
অপরদিকে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ ফারুক বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোল্লা ফারুকের নেতৃত্বে তার বাহিনী সমাবেশে হামলা করে। তাদেরকে আমরা প্রতিহত করলে ফিরে যাওয়ার সময় আমাদের ক্লাবে হামলা চালিয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমাদের নেত্রী এডভোকেট নিপুণ রায়ের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে এডভোকেট নিপুণ রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।