রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
আন্তজার্তিক উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ অবদান!
এম এ করিম নিউজ ডেস্কঃ
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বায়ন কথাটি ছোট-বড় সবার জানা। বিশ্বের রাজনীতিক, অর্থনীতিক,সংস্কৃতি,শিক্ষা,সাহিত্য ও বিনোদন থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুহূর্তের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থান্তরিত করা এখন হাতে গোনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার।
বিশ্বের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদানে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সকল দেশের বিভিন্ন অাদান প্রদান ওইনফর্মেশন গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন তা হাতের মুঠোয়।
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে মনিটর নামক কম্পিউটারের মাধ্যমে কন্ট্রোল প্রসেসিং ইউনিট সংযুক্ত প্রিন্টারও কিবোর্ড মাউস সরবরাহ হার্ডডিক্স ফ্লপি ডিস্ক পেনড্রাইভ রেড অনলি মেমোরি সহ মনিটরের ডেক্সটপ নামক কম্পিউটারের যাবতীয় ইন্সট্রুমেন্ট ইন্টারনেট দ্বারা পরিচালিত একটি মাত্র বাহক যার নাম হচ্ছে কম্পিউটার।
আর এই সামান্য মনিটর দিয়ে সারা বিশ্বের যাবতীয় কাজ মুহূর্তের মধ্যে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থান্তরিত সহ ছোট-বড় সকল কার্য সম্পাদন করা যায়।আর এত কিছু হয়েছে বিশ্বায়ন উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান থেকে।
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কিলার নামক রোবটের কথা ছোট-বড় সবার জানা। কিলার নামক রোবটের সাথে কমবেশি সবাই নাম মাত্র পরিচিত।যা মানুষের বিকল্প হিসেবে সম্প্রতি ব্যবহৃত হচ্ছে রোবট।
এদিকে জনপ্রিয় হলিউড সিনেমা টার্মিনেটরের যারা দেখেছেন তারা কিছুটা হলেও ধারণা করতে পারবেন রোবট সম্পর্কে।
রোবট মূলত মানুষের পরিবর্তে টার্গেট নিয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়।যা পৃথিবীজুড়ে মহাকাশ থেকে শুরু করে ভূ-গর্ভস্থে রোবটের কার্যক্ষমতার বিকল্প নাই।
এছাড়াও, সম্প্রতি মানুষের মস্তৃস্কের অাকার অাঙ্গিকে গঠন করে অবিকল মানুষরূপী মানুষের হাতে তৈরিকৃত রোবট অাবার মানুষের দিগনির্দেশনায় প্রচালিত।
অবাক করার ব্যাপার হল মানুষের হাতে তৈরিকৃত রোবটটি মানুষকে লক্ষ্য করে,যা মনিবের দিগনির্দেশনা গণ্যকরতে সক্ষমতা দেখায়।
বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে পৃথিবীর সকল খবরাখবর সহ যুদ্ধক্ষেত্রের ময়দানে বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে রোবট।
রোবট কম্পিউটারের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে অাবার নিজ সক্ষমতা বা তার সময়সীমার কার্যক্ষমতা অনুযায়ী ইন্সট্রুমেন্ট পরিধি কার্যসম্পাদনের সক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে।
কিন্তু পক্ষান্তরে কিলার রোবট তৈরি হচ্ছে সাধারনত বিজ্ঞানীর সুস্থ্য মস্তৃস্কের তৈরিকৃত ধর্যের ফল।যা মানুষের হাতেই তৈরী, আর এরূপ এটার জন্য ২০১৪ সনে প্রথমবারের মতো কিলার রোবট ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছে জাতিসংঘ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
আলোচনাকে রোবট এর কার্যক্ষমতা প্রয়োজনীয় ও সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।এবং সাকরাইন কনভেনশনাল ইউপনক বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনে চলাকালীন কিলার রোবট ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
তবে রোবট হলো এমন একটি ইউপিএস সিস্টেম,যা কিনা সরাসরি কারো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিজে থেকে লক্ষ্য স্থির করে মানুষকে ফিডব্যাক প্রদান করতে পারে।এবং তার হাতে থাকা মানুষকে ইন্সট্রুমেন্ট দ্বার সক্ষমতায় ফলাফল ছুড়তে পারে।
এদিকে প্রযুক্তির লাগামছাড়া অগ্রগতি গ্রহণের পর কিলার রোবটগুলো আত্মপ্রকাশ করতে পারে সবচেয়ে বড় মারণাস্ত্র হুমকি হিসেবে।
এছাড়া অস্ত্র নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে জড়িত ততকালিন অনেকেই মনে করেন বর্তমান যুদ্ধ আইন মেনে চলার রোবট ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে কিলার রোবট বিরোধীদের মধ্যে মানবতার জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করেছিলেন ততকালিন সচেতন মহল।
এদিকে প্রযুক্তির ট্রাক্সের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে অপরাধ দমন সহ ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ণ অবদান অাজ পর্যন্ত রেখেই চলেছে
২০১৪ সালে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশের ইউনিফর্মের ছিল তথ্যপ্রযুক্তির ক্যামেরা। যা দূর থেকে অপরাধীর অপরাধ কর্মকাণ্ড তুলে ধরা যায়। তাছাড়া ক্যামেরার বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার এর সাথে আমরা ছোট-বড় সবাই পরিচিত।
তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ইউনিফর্মের ছোট আকৃতি ক্যামেরা যুক্ত থাকে ভিন্ন কৌশলে এসব ক্যামেরা ধারণকৃত তথ্য ও ফুটেজ সরাসরি আপলোড হয়ে যাই,এভিডেন্স ডটকম নামের একটি সাইডে।যা সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখে নিতে পারেন সব তথ্য প্রমাণ।
ঘটনা ঘটার মুহূর্তেই তাৎক্ষণিক প্রমাণ সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা হয় এমন প্রযুক্তির সব ভিন্ন কৌশলী ক্যামেরা। তাছাড়া,এমন রকমারি বাহারি সব ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে লন্ডনে মেট্রোপলিটন পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপরাধীর অপরাধ দমন করে অাচ্ছে।
পুলিশ অফিসার সহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আচরণের ওপর নজরদারি করতে পারবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। টারসেল ইন্টারন্যাশনাল তৈরি একশন বডি ক্যামেরা ব্যবহার করে লন্ডন পুলিশ একটানা ১২ ঘন্টা ভিডিও করতে পারবে এসব রকমারি বিভিন্ন মডেল ডিজাইনার ক্যামেরা দিয়ে।
এসব ক্যামেরাগুলো ইউনিফর্ম এই লুকানো থাকবে তা ঠিক নয়,তবে শার্টের কালার, হ্যান্ড বা সেনটলের মত গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে ব্যবহার করা যাবে এসব সর্ব ফিটনেস ক্যামেরা গুলে।আর তাই এত কিছু সম্ভব হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির,বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অর্থাৎ গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বায়নের প্রভাবেই।
আর তাই এসব ক্যামেরাগুলো বিদ্যুৎ যোগাবে পকেট সাইজ ব্যাটারি প্যাক,এবং ক্যামেরাগুলো ভিডিও ব্যবহারকারী কেউ মুছে দিতে বা পরিবর্তন করতে পারবে না।
এছাড়াও প্রমাণ হিসেবে ভিডিও গুলো খুব চমৎকার। শুধু তাই নয়,প্রশাসনিক অফিসাররা যদি কোন অনৈতিক কাজ করে তবে তার সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়বে ধারণকৃত ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে।
আর এমন তথ্য ও প্রযুক্তির বদৌলতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও অভিযোগে সমাধান করা অনেকটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে,সম্প্রতি এন্ড্রয়েড ভার্সনের মোবাইল সেট গুলো হাতের মুঠোয় থাকায় টাইপিং ছাড়াই ম্যাসেজিং করে আপনার বিভিন্ন ইনফরমেশন বা তথ্য প্রমান সহ পাঠিয়ে দিচ্ছে অাপনার গন্তব্যস্থানে।
এই মুহূর্তের মধ্যেই যা ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লাগি আপলোড করা যায় এমন এন্ড্রয়েড সেটগুলো। কিন্তু স্মার্টফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ লাগিয়ে আপলোড করা যাচ্ছে এমনকি কখনো শুনাগেছে।
এদিকে গুগলের তৈরি বহুপ্রতীক্ষিত মডিউলার স্মার্টফোন বাজারে আসছে ২০১৫ সালে। আর তাই স্মার্টফোন বললেই আমাদের ছবিটা চোখের সামনে ভেসে উঠে মাথার ভেতর। অার তা চলতে থাকে রমরম আর পিক্সেল হিসেবে তার সবকিছুই,যা পাল্টে দিতে পারে গুগলের প্রজেক্ট আর মডুলার স্মার্টফোন।
আর তাই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ ফোনের হার্ডওয়ার বদলে নেওয়া যাবে স্মার্টফোনের হার্ডওয়ারের গঠনটাই এমন হবে যে কেউ তা নিজেই পুরনো ব্যাটারি বা ক্যামেরা খুলে নিজের পছন্দমত নতুন হার্ডওয়ার লাগিয়ে নিতে পারবে,
সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে অনেক ক্রেতাই বছরের-পর-বছর পাল্টাতে থাকে তারই স্মার্টফোনগুলো। এখন এসব দৃষ্টিনন্দিত সেটগুলো পাচ্ছে বিভিন্ন মডেলের বিভিন্ন ব্যান্ডের, সকল ব্যান্ডের স্মার্টফোন দিয়ে গ্লোবাল ভিলেজ এর সকল কাজ সম্পাদন করা যাচ্ছে। তা একমাত্র তথ্য ও প্রযুক্তির বিজ্ঞান প্রযুক্তির অবদানের বলে কেবলই।
এদিকে তথ্য প্রযুক্তির অবদানেই টাইপিং ছাড়াই মেসেজিং কার্য সম্পাদন করা যাচ্ছে,স্মার্টফোন হাতের মধ্যে আসার পূর্বেই মেসেজ টাইপিং করতে হচ্ছেল, এবং মেসেজ এসএমএস লিখতে হতো আগে নির্দিষ্ট শব্দ টাইপ করে, তারপর ব্যক্তিকে প্রেরণ করতে হতো।
কোন তথ্য প্রযুক্তির বদৌলতে স্মার্টওয়াচ প্রযুক্তিতে রাইটিং ছাড়াই টেক্সট মেসেজ করার পিকচার করছেন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।শুধু তাই নয়, সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বসে নেই তাদের সফটওয়্যার ডেভলপের কাজে।
আজকাল তথ্যপ্রযুক্তি ও যুগে বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগে বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে কলকারখানা অর্থনৈতিক কাজের বিভিন্ন ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মীরা সফটওয়্যার ব্যবহার করে তা সুন্দর স্বচ্ছ ও মনের মত ভিডিও ফুটেজসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করে অাসচ্ছে। আর তা দৃষ্টিনন্দিত সচ্ছন্দে পাঠক-দর্শক তা উপভোগ করে আসছে। এতকিছুর একমাত্র ধারক বা বাহকের মাধ্যম বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির যুগেই সম্ভব।
কম্পিউটার প্রসেসিং প্রযুক্তির জগতের বিশ্ব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো ভয়েস গ্রুপ রেলেক্স প্রযুক্তির বদৌলতে কেবল কণ্ঠস্বর দিয়ে স্মার্টওয়াচ থেকে টেক্সট মেসেজ লেখা এর অভিনব ফিচার দিচ্ছে শুধুমাত্র গ্রাহকসেবা বা ক্রেতা সন্তুষ্টিররজন্যে। আর এত কিছু সুবিধা পাচ্ছি আমরা অান্তর্জাতিক উন্নয়নে একমাত্র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি উন্নতির প্রভাবেই।