ইমরান হোসেন ইমু্ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। এরই মধ্যে তৃণমূলে জোর পেয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ। ঢাকার পাশ্ববর্তী কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জের আংশিক মিলিয়ে গঠিত ঢাকা-২ আসনের রাজনীতিও এখন নির্বাচনমুখী। জমজমাট হয়ে উঠেছে এখানকার নির্বাচনী আমেজ। কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে চান। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সবুজ সংকেতও পেয়েছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন। সরেজমিনে কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীর চর ও সাভারের তেতুলঝড়া এলাকা ঘুরে তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের মন কাড়তেও সক্ষম হয়েছেন দুই বারের দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান। এই আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। কিন্তু বিভিন্ন কারণে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের পাশাপাশি দলের মধ্যেই চ্যালেঞ্জের মুখে তিনি। এ ছাড়া তরুণদের নিয়েই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীন শেখ হাসিনার আগ্রহ বেশি। এসব বিবেচনায় বেশ খোশমেজাজে তরুণ শাহীন আহমেদ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের দুইবারের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বীকৃতি অর্জনকারী শাহীন আহমেদ কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে দীর্ঘদিন ধরেই এক ছাতার নিচে একত্রিত করে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কেবল ঢাকা-২ নয়, পুরো কেরানীগঞ্জজুড়েই বিভিন্ন সময়ে দলীয়, সামাজিক এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পোস্টার ব্যানারে শুধু শাহীন আহমেদকেই দেখা গেছে। এ ছাড়া সহযোগী ও ভ্রাতৃ-প্রতীম দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন শাহীন আহমেদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘মূলধারার আওয়ামী নেতাকর্মীরা সকলেই আমার পাশে রয়েছেন। আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা আমাকে অভয় দিচ্ছেন এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। আমি জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমার কাজ জনগনের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকা। স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কাজ সম্পাদন করা। আমি সেটাই করে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরুণেরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে। তাই তরুণদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো উচিত মনে করেই আমি আমার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি।’ আগামী নির্বাচনে নৌকার টিকিটে লড়াই করার আশাবাদ ব্যক্ত করে শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমার সমস্ত ভাবনাজুড়ে কেরানীগঞ্জের জনগন ও তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। আশা রাখি আগামী নির্বাচনে ঢাকা-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেলে জনগনের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে পারবো।’ তিনি বলেন, আমি বরাবরই দলের প্রতি অনুগত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতীক দেন, তবে তৃণমূল ও সাধারণ জনগণকে নিয়ে আমি জয়ী হতে পারবো ইনশআল্লাহ।