শামীম আহম্মেদ: কেরানীগঞ্জের একাধিক ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের মোল্লারহাট ও জাজিরা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি আভিযানিক দল। এসময় ইটভাটা আইন লঙ্ঘনের দায়ে মোল্লারহাট এলাকার মোল্লা ব্রিকস এন্ড কোং(গইঈ)ইটভাটাকে নগদ ১১ লাখ টাকা, পাশ্ববর্তী মেসার্স এমএইচএস এন্ড কোং (গঐঝ) ইটভাটাকে ১১ লাখ টাকা এবং জাজিরা এলাকার নিউব্রিকস ম্যানুফ্রাকচার (ঘইঈ) নামক ইটভাটাকে ৮লাখ ঠাকাসহ মোট ৩০লাখ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের আভিযানিক দলের ভ্রম্যমান আদালত। ইটভাটা পরিচালনার বৈধ কোন লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিপ্তরের কোন ছাড়পত্র না থাকায় তাদেরকে নগদ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে এসকল ইটভাটার মালিককে একবছরকরে সাজার রায়ও প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহম্মেদ ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এই আদেশ দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর(ডিডি) মো.আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিহির লাল সরকার, মো. শরীফুল ইসলাম ও উপ-পরিচালক খালেদ হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরসূত্রে জানাযায়,সরকারি নিয়মণীতিকে তোয়াক্কা না করে নদী দখল, কয়লা পোড়ানোর পরিবর্তে কাঠ পোড়ানো, পরিবেশ দুষণকারি টায়ার টিউব পোড়ানো, খোলা পায়খানা ব্যবহার, শিশুশ্রম ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে মাটি চুরির অভিযোগও রয়েছে এদের অনেকের বিরুদ্ধে। তাছাড়া প্রায় ৯০ শতাংশ ইটভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছেনা আধুনিক ও পরিবেশ সম্মত ঝিকঝাক চিমনী বা চুল্লী। বেআইনিভাবে গড়েওঠা এসকল ইটভাটার বেশীর ভাগেরই নেই কোন পরিবেশ ছাড়পত্র। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন আদেশ- নিষেধকেও আমলে নিচ্ছেনা তারা। অধিকাংশ মালিক আদালতের একাধিক মামলা মোকদ্দমা মাথায় নিয়েও হরহামেশা চালিয়ে আসছে তাদের এধরনের বেআইনি সব কর্মকান্ড। তারা ইট প্রস্তুত ও ইটভাটাস্থাপন(নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ কে অমান্য করছে। পাশাপাশি তারা পরিবেশ ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতিরিকে কৃষি জমি,নদী বা খাল দখলসহ পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন করে অবৈধভাবে ইটপ্রস্তুত করে আসছে। যা ইটভাটা স্থাপন(নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এর ধারা ১৪ ও ১৫ অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এসকল বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয় হতে একাধিকবার অবহিত করা সত্বেও তা আমলে নিচ্ছেন না এসব অবৈধ ইটভাটার মালিকরা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজিদ আহম্মেদ বলেন, অবৈধসব ইটভাটায় আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। তিনি বলেন আজ আমরা তিনটি ইটভাটাকে জরিমানা করেছি। পর্যায়ক্রমে কেরানীগঞ্জে যত অবৈধ ইটভাটা আছে সবগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে। অবৈধভাবে কেউ কেরানীগঞ্জে কোন ইটভাটা চালাতে পারবে না। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com