কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে অবৈধ প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড,লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে সোহেল ও হান্নান।
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণবঙ্গগামী ২৫ টি জেলার গাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলির এলাকা উপর দিয়ে মাওয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে ব্যবহার করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে। যানজট নিরশনে এরই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গগামী বিভিন্ন পরিবহনের টিকেট কাউন্টার ও কদমতলী এলাকা থেকে সরিয়ে চুনকুটিয়া বেগুনবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ নিরলসভাবে কদমতলী গোল চত্বর এলাকা যানজট নিরসনে কাজ করলেও অবৈধ বিভিন্ন স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই রয়েছে।আর রাস্তার উপর অবৈধ প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলছে স্থানীয় নামধারী কিছু নেতা।
সরজমিনে গিয়ে কদমতলী এলাকায় প্রাইভেট কার চালক ও মালিকদের নিয়ে সংগঠনের নামে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়। কদমতলী গোল চত্তর এলাকায় অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে ভুয়া কমিটি বানিয়ে চালকদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা এবং দৈনিক সার্ভিস চার্জের নামে এই চাঁদা তোলা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কদমতলী গোলচক্কর এলাকায় অবৈধ প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডে ৮০টি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস নোয়া গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এলাকার প্রভাবশালী চার পাঁচজন নেতার ছত্রছায়ায় স্ট্যান্ডে ও কমিটি গঠন করে সভাপতি সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হান্নান মিলে প্রতি মাসে প্রাইভেট কার থেকে ২ হাজার টাকা এবং প্রতিদিন সার্ভিস চার্জ বাবদ পত্রিকা গাড়ি থেকে ৮০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকা জেলা ট্রাফিক দক্ষিণের বেশ কয়েকজন অসাধু সার্জেন্ট ও টিআই মাহফুজকে ম্যানেজ করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে ফিটনেস বিহীন গাড়ী ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মাধ্যমে গাড়ী চালানো হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনার মাধ্যমে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে।
এমনকি নতুন কোন গাড়ি এই স্ট্যান্ডে রেখে চালাতে গেলে গাড়ি নাম লাইনে লিপিবদ্ধ করার জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা এককালীন দিতে হয়।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত এসপি স্যারের নির্দেশে ঢাকা জেলায় ২৩ জন চাঁদাবাজকে আটক করে নিয়মিত মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান স্যারের নির্দেশে আমরা জেলায় চাঁদাবাজি, রাহাজানি, মাদক ছিনতাই ও ডাকাতদের স্থান হতে দিবো না। এছাড়া জেলায় যেই অপকর্ম করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com