সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন হযরতপুর ইউনিয়নের চরবৌনাকান্দি এলাকায় আজ রবিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি ডাটা খেতে অভিযান চালায় একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল। অভিযানে চেয়ারম্যান ওই এলাকা থেকে হাজার লিটার পরিশোধিত চোলাই মদ ও মদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে। এরপর মদ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে কারখানার মালিকের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০) আটক করা হয়। চেয়ারম্যান পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জের সোপর্দ করে।
হযরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন আয়নাল জানান, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আমার ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেছিলাম। সে থেকে যেখানে মাদকের সংবাদ পাই সেখানেই হামলা চালিয়ে মাদক কারবারিদের আস্তানা গুড়িয়ে দেই। আজ রবিবার বিকেলে পরিষদে বসে কাজ করতেছিলাম এমন সময় একটি ফোন পেয়ে আমার ইউনিয়নের চরবৌনাকান্দি এলাকার একটি ডাটা খেতে রাতের আধারে ওই এলাকার চান মিয়া ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম চোলাই মদ তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে।
এ খবরের পর পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সেখানে অভিযান চালাই। অভিযানে চান মিয়ার ডাটা খেতের মাঝখানে চোলাই মদ তৈরির কারখানা দেখতে পাই। পরে লোকজন দিয়ে পুরো খেত তল্লাশি করে প্লাষ্টিকের ১২টি বড় ড্রাম যার মধ্যে ৮৫ লিটার করে মোট এক হাজার বিশ লিটার চোলাই মদ (যা বিক্রির অপেক্ষায় ছিল) জব্দ করি। এ সময় চান মিয়া কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী পালাতে গিয়ে আটক হয়।
পরে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে খবর দেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে জব্দকৃত মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম ও শেফালী বেগমকে সোপর্দ করি। তিনি আরো বলেন, আমি এর আগেও আমার ইউনিয়ন থেকে এরকম আরো ৪টি মদের কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছি।
কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হাজি মো. শাহ আলম জানান, হযরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আয়নাল হোসেনের সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে ১২টি চোলাই মদের প্লাষ্টিকের ড্রাম, মদ তৈরির সরঞ্জামাদিসহ শেফালী বেগম নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় এ এস আই মিরান বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।