শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জে নকল ওরস্যালাইন, টেষ্টিস্যালইন তৈরি করা হচ্ছে
পত্রিকার সম্পাদক ও আইনজীবী পরিচয়ে মানহীন নকল পণ্য তৈরির কারখানা।
কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু।
প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তির আশায় রাস্তা কিংবা ফুটপাতে পান করছেন ওরস্যালাইন, টেষ্টি স্যালাইন ট্যাংসহ নানা উপাদান। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন মানহীন এসব পণ্য কোথায় কিভাবে তৈরি হচ্ছে? যেগুলোর নেই কোন বৈধ কাগজপত্র। চকচকে মোড়কে তৈরি সেইসব নকল পণ্য আসলের সাথে মিশে বাজারজাত হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। আর এমনই নকল পণ্য তৈরি কারাখানার সন্ধান মিলেছে খোদ কেরানীগঞ্জে। এসব কারখানা ঘুরে রিপোর্ট করেছেন কারখানা মালিক….
এভাবেই একাধিক পত্রিকার সম্পাদক ও আইনজীবী পরিচয় ব্যবহার করেই তৈরি হচ্ছে নকল ওরস্যালাইন, টেষ্টি স্যালাইন, মুখরোচক নানা চকলেট সিভিটাসহ একাধিক নকল পণ্য। তা আবার বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ব্যবসা চালানোর পর তার হাতে চলছে ,
তিন বছর ধরে। পুলিশ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই চালাচ্ছেন নকল পণ্যের কারখানা
বলছি রাজধানীর কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে এলাকায় গড়ে উঠা হামজা ফুড প্রাডাক্ট নামে এই নকল কারখানার কথা। বাহির থেকে দেখা যায় চারদিকে আটকানো টিনসেট তালা ঝুলানো একটি বাড়ি। যার রয়েছে একাধিক পটেক গেট। ভিতরে কি চলছে বুঝার উপায় নেই ।
অনেক চেষ্টার পর ভিতরে ঢুকলে দেয়া মিলে এলাহিকান্ড। কয়েকজন মহিলা বসে প্যাকেট করছে ওরসস্যালাইন, হামজা টেষ্টিস্যালাইন, অরেঞ্জ হজমী নামে নানা পণ্য। রয়েছে বস্তা ভড়া একাধি ক্যামিক্যাল ও তৈরি সরঞ্জাম। কোন ল্যাবটেষ্ট ও ক্যামিষ্ট ছাড়াই এ সব পণ্য তৈরি করছেন তারা। ভক্সপপ….. কারখানা কর্মি।
ফার্মিসিতে বিক্রি হওয়া ওরস্যালাইন এর সাথে এসব পণ্যের কোন মিল নেই বলে,ঔষধের এই দোকান দার বলেন, বেশি লাভের আশায় অসাধু কিছু লোক এগুলো বিক্রি করেন।
ভক্সপপ…… ঔষধের দোকানি।
প্রশাসন বলছে, চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বেশি লাভের আশায় যারা এমন পণ্য বাজারে ছড়াচ্ছে, সন্ধান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আবু রিয়াদ, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এমন মানহীণ পণ্য ক্রয় থেকে সবাইকে সচেতন থাকার আহব্বানও জানান তিনি। এসব নকল পণ্যের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।