শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি.
রাজধানীর কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর এলাকায় নাজিম উদ্দিন (৭০) নামে এক ব্যবসায়ীকে জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে কালিন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল এর বিরুদ্ধে।
৪ মার্চ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে দোকান খোলা রাখার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে পেটান বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী লকডাউন ভেঙ্গে রাস্তায় নেমে আসে।পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় চেয়ারম্যানে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।পরে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ এরফান আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩/৪ দিন আগে কালিন্দী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার বুলবুল হাজীকে বরিশুর বাজারে লাঞ্ছিত করেন মোজাম্মেল চেয়ারম্যান। এরও আগে একই বাজারের চায়ের দোকানদার খোকন, সবজি বিক্রেতা মনির ও দর্জি আবুলসহ অনেকেই মারধর করেছে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল।
দোকান খোলা রাখার অভিযোগে প্রবীন এই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন ।
এ বিষয়ে স্থানীয় খোকন অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও মোজাম্মেল চেয়ারম্যান এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীকে মারধরসহ সাবেক এক মেম্বারকে লাঞ্ছিত করেছেন। রফিক নামে আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ক্ষমতার দাপটে চেয়ারম্যান যা ইচ্ছা তাই করবেন। আমরা সাধারণ মানুষ কোন ন্যায় বিচার পাবনা।
এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী নাজিম উদ্দিন জানান, সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও দোকান খোলা রাখায় মোজাম্মেল চেয়ারম্যান আমাকে গালাগাল দেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে দোকান থেকে নামিয়ে জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোজাম্মেল বলেন, ঘটনা সত্য নয়। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে বিএনপির লোকজন এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে অবগত নন জানিয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, ঘটনা সত্য হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হব।