পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশের কোন
সদস্য যদি সন্ত্রাস বা মাদকের সাথে জড়িয়ে পরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে
উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করুন। জনগণকে মূল্যায়ন না করলে কোন ওসির
থানায় থাকার দরকার নাই। তাদেরকে পুলিশ লাইনে রেখে দেয়া হবে। পৃথিবীর সব
দেশে জঙ্গিদের সরাসরি ‘ক্রসফায়ার’ করা হয়। তবে বাংলেদেশে জঙ্গিদের
আত্মসমর্পণের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা গ্রেফতার হতে চায় না। উদের
কাছে বোমা, ধারালো অস্ত্র ও গ্রেনেট থাকে। তাই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব
নয়। পুলিশের মনবলকে দুর্বল করার জন্যই তারা পুলিশের সংঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে
জড়াচ্ছে, মারা পড়ছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠি এটা সহ্য করতে পারছে না। তারা
জঙ্গি দমনে এমন কার্যক্রমের সমালোচনা করছেন। আজ বিকেলে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন
মাঠে কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে প্রধান আলোচকের
বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন,
আজকে সারা দুনিয়ার কাছে বাঙালি জাতি মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এ গর্ব
ষোলকোটি মানুষের। তবে অজ্ঞতা ও ধর্মান্ধতার কারণে জঙ্গিবাদ ও মাদক মাথাচারা
দিয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তা দূর করতে হবে।
আইজিপি আরও বলেন, কোন ব্যক্তি যাতে অপরাধমূলক কাজে জড়াতে না পারে সে জন্য
সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ
করাই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং। যাতে সন্ত্রাস, মাদকসহ সকল ধরনের অন্যায় কাজ
কমিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যেই কমিউনিটি পুলিশ কাজ করে।
ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আ. এান্নান রসুলের সভাপতিত্বে
সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বরিশাল রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি
আকরাম হোসেন, ঝালকাঠি জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাক খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত
আলী তালুকদার।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com