ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হকারমুক্ত করার কাজে অবহেলার জন্য সদরঘাট টার্মিনালে নিয়োজিত পুলিশ, আনসার ও সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান। তিনি গতকাল রবিবার বিকেলে ঢাকা সদরঘাটে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত নৌযান চলাচল নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে ঈদপূর্ব এক প্রস্তুতি সভায় এ নির্দেশ দেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. শহীদ ভূঁইয়া ও সাইদুর রহমান রিন্টু প্রমুখ। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী অরো বলেন, লঞ্চ যাত্রীদের সেবার বিষয়ে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবেনা। যাত্রী হয়রানি বন্ধ, ব্যাগ চুরি ও ঘাটে লেবারদের লাগেজ টানাটানি বন্ধ করতে হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগে না ফেলতে তিনি সংশ্লিষ্টদের আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, যাদের নির্দেশে যাত্রী হয়রানি হচ্ছে তাদের চিহ্নত করে ছাটাই করা হবে। কাউকে খাতির করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে দেয়া হবে না। মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে নতুন টার্মিনাল ভবন করা হয়েছে। লঞ্চঘাটে জেটি ও পল্টুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সদরঘাটকে আধুনিকায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ কমানোর লক্ষ্যে পোস্তগোলাস্থ শ্মশানঘাট সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে সদরঘাট থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, লঞ্চ থেকে যাত্রীরা যাতে কোনো ময়লা আবর্জনা সরাসরি নদীতে না ফেলে সে লক্ষ্যে প্রতিটি লঞ্চে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা থাকবে। লঞ্চে রোটেশন প্রথা, ওভার লোডিং বন্ধ, সিঁড়িতে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ সালে দেশে কোথাও লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া সভায় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতনা বাড়ানোর, হকার মুক্ত রাখতে নিয়মিত মাইকিং ইত্যাদি বিষয়েও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com