রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
নদী তীর পুনর্দখল রোধে নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, কিওয়াল অন পাইল ইত্যাদি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। উক্ত কাজ বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। নদীর তীরভূমির অবৈধ দখলরোধ, দখলমুক্ত অংশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি, পরিবেশগত উন্নয়ন, ওয়াকওয়ে (হাঁটার রাস্তা) নির্মাণ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আজ ৬ জুলাই ২০১৯ ঢাকার কামরাঙ্গীরচরস্থ খোলামোড়া ঘাটে
সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে কিওয়াল, ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ,বিশিষ্ট কলামিষ্ট পরিবেশবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে (৬ জুলাই থেকে) ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় ৩৮০৩ টি আরসিসি সীমানা পিলার, রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল,দু দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। ৩৮০৩ টি আরসিসি সীমানা পিলারের মধ্যে ২৩৪০ টি সিঙ্গেল পাইলের এবং ১৪৬৩ কি ডাবল পাইলের হবে। ৩৮০৩ টি আরসিসি সীমানা পিলার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো স্থাপনের কাজ শেষ হবে। রামচন্দ্রপুর হতে বসিলাম ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল এবং দু’ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে স্থাপনের কাজ শেষ হবে। উল্লেখ্য বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে,কিওয়ালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করবে। নদীর তীরভূমীতে৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ,১০৮০০টি সীমানা পিলার স্থাপন, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ ,১৯ টি আরসিসি জেটি, ১০০ টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০৯ টি বসার বেঞ্চ স্থাপন,৪৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষা সহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে