রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
মোঃইমু।চলেছেন দীর্ঘ সময় ধরে তাদের অন্যতম হলেন মামুন মোহাম্মদ। ২০০১ সালের শুরুতে মামুন মোহাম্মদ প্রথম দেশের বাইরে নেপালে শো করতে যান। এরপর বিভিন্ন সময়ে সরকারি-বেসরকারি সফরে তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর শো করতে যান। সবচেয়ে বেশি তিনি শো করেছেন ভারতে।
জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে, মঞ্চে এত ব্যস্ততা রয়েছে, কিন্তু দেশে এতগুলো চ্যানেল থাকতেও সেখানে আপনার তেমন কোনো কাজের খবর নেই, কেন?
মঞ্চ আছে বলেই নৃত্যশিল্পীরা বেঁচে আছেন। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। এতোগুলো টিভি চ্যানেল হয়ে নৃত্যশিল্পীদের কোনো লাভ হয়নি। আমাদের দেশের অসংখ্য নাচের দল এতো চমৎকার নৃত্যচর্চা করছে, কিন্তু সেগুলো দেখানোর মতো প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছে না। যদি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠান করত তাহলে দেশের আনাচে কানাচে নাচ ছড়িয়ে যেত। কিন্তু সেদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
ক্ল্যাসিক নৃত্যের পাশাপাশি আধুনিক নাচের গুরুত্ব কতোটুকু বলে মনে করেন?
একজন নৃত্যশিল্পীর অবশ্যই সব ধরনের নাচ শেখা উচিত। সেক্ষেত্রে আমরা যদি নাচের গোড়া থেকে না শিখে প্রথমেই মাথায় উঠতে চেষ্টা করি তাহলে তা বড় ভুল হবে। আজকাল যারা নাচ শিখছে তাদের মধ্যে ক্ল্যাসিক বাদ রেখে আধুনিক নাচ শেখার প্রতি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হলো, ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ততোটা ধৈর্য নেই। আর সে কারণে তারা আধুনিক নাচকে প্রাধান্য দিচ্ছে। মূলত নাচের ভিত্তি হলো ক্ল্যাসিক নাচ। এ কারণে একজন নৃত্যশিল্পীর শুরুটা হওয়া উচিত এ নাচের মাধ্যমেই।
এ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের উদ্দেশ্যে কি কিছু বলার আছে?
নৃত্যের প্রতি যাদের আগ্রহ আছে শুধুমাত্র তাদেরই উচিত এ শিল্পকে চর্চা করা। অন্যথায় এই শিল্পের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করা ঠিক নয়। এ প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীরা যেন নিজেদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে নৃত্য সম্পর্কে জেনে ও বুঝে নৃত্যচর্চা করে। তাহলেই তারা একদিন নৃত্যাঙ্গনে এগিয়ে যেতে পারবে।