সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ীদের উপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা।
নিজস্ব প্রতিবেদক : চাঁদা না দেওয়ার জেরে পুরান ঢাকার ইসলাপুরে বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির মার্কেটের সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় এ সংঘর্ষ হয়ে চলে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় যুবদলের নেতা সোবহান হোসেন ও ছাত্রদলের নেতা নূর হোসেন। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হামলাকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীদের চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত মঙ্গলবার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর জের ধরে বুধবার ইসলামপুরে তাকে একা পেয়ে মারধর করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরপর দলবল নিয়ে অন্তত বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে প্রবেশ করে হামলা চালায়।
হামলার সংবাদের পর মাইকিং করে সকল দোকানপাট বন্ধ করার ঘোষণা দেন। এরপর পাটুয়াটুলি, ইসলামপুর ও সদরঘাট এলাকার রাস্তায় নামেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, মার্কেটের সভাপতি বাবুলের ওপর হামলার পরই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা যখন হামলা চালায় তখন তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি ও দেশী অস্ত্র ছিলো। হামলায় সসদরঘাটের টোকাইসহ চিহ্নিত অপরাধীরাও অংশ নিয়েছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় যুবদলের সাবেক নেতা সোবহান হোসেন পিতা হোসেন ও সাবেক ছাএনেতা নূর হোসেন পিতা মৃত ইয়াদ আলী, ইমরান হোসেন ইমু সহ সদরঘাটের শ্রমিক নেতা সুমন ভূইয়ার লোকজন রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করতে আসে।
এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হাসান বলেন, নূর ইসলামসহ কয়েকজন মার্কেট কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুকে মারধর করার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা যায় ৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পুরান ঢাকায় বিশেষ করে ইসলাম পুর, বাদামতলী, নবাববাড়ি, পাটুরিয়াটুলি,সদরঘাট এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজি শুরু করে কোতোয়ালি থানার ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের নেতারা
এক ব্যবসায়ী নাম না করা শর্তে জানান ফরহাদ রানা,ইমরান আলী ইমু, সুমন ভূইয়া,সোবহান,ও নূর হোসেন, সহ আরো অনেকে