রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
পুরান ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী কালা রহিমকে চাঁদাবাজি মামলায় আটক করেছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতোয়ালী থানা নবাববাড়ী পুকুর পাড় থেকে চাঁদাবাজির মামলার অন্যতম আসামী রহিম (৩২) কে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ,
মামলার বিবরণীতে জানা যায়। আসামী রহিম(৩২), পিতা- ইনতিয়াজ মিয়া, যাতা-বানু বেগম, সাং। ১৬/১ আহসানউল্লার রোড, নবাব বাড়ী পুকুরপাড়, কোতয়ালী, মামলার সূএে জানা যায় বাদী মোঃ মনির হোসেন (৫৪) পড়ীয়তপুর জেলার নড়িয়া পরাধীন পাইকপাড়া, বর্তমানে তিনি কোতয়ালী থানাধীন বসবাস করেন। আসামীদের বসত বাড়ি বিভিন্ন জেলায়। বাদী পাইকারী পাঞ্জাবি ব্যাবসা করে এবং সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের কোতয়ালী থানাধীন সদরঘাট লঞ্চঘাট শ্রমিক দল সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছে। গত ইং-০৫/০৮/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকায় ডিএমপি, কোতয় হামাদীন ওয়াইজঘাটস্থ ময়লার টাংকির সামনে পাকা রাস্তার উপর বাদীর দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান কেম বিয়োগী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাদী সহ বাদীর সংগঠনের ৩০/৩৫ জন নেতা কর্মী লয় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে আকস্মিকভাবে উল্লেখিত বিবাদী সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৮০০০/ আসামীরা বাদীকে কে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে এবং তাদের হাতে থাকা লাঠি সোটা দিয়ে বাদীদের উপর অতর্কির হয়ে বেদর মারপিট করিয়া গুরুত্বর ও রক্তাক্ত জখম করে। প্রাণের ভয়ে বাদী নিজে তার নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেল হোসেন পাপন (৪৫) নির্দেশক্রমে অন্যান্য বিবাদীগণ বাদীকে রহিম জোরপূর্বক ডিএমপি, কোতয়ালী থানাধীন ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় বুলবুল ললিত কলার ভিতরে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি চড় থাপ্পর মারতে থাকে। একপর্যায়ে ০১ নং বিবাদী মোঃ জাবেদ হোসেন পাপন (৪৫) বাদীর কপালেন পিস্তল তাক করে এবং চিৎকার করে বলে “তুই এখন ২০,০০০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিবি টাকা যদি না দেস তোরে
প্রাণে মেরে ফেলব” বলে ভয়ভীতি হুমকি ধামকি প্রদান করে। বাদী জীবন বাঁচাতে বিবাদীদে নগদ ১০,০০০০০/-(দশ লক্ষ) টাকা মুক্তিপন দিয়ে বিবাদীদের নিকট হইতে মুক্তি লাভ করেন বলিয়া বাদী আরো উল্লেখ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী এজাহার নামীয় আসামীদের সাথে রহিম (৩২) একত্রে চলাফেরা করিতো বলিয়া জানা যায়। আসামী রহিম মামলার ঘটনার সাথে জড়িত বলিয়া তদন্ত কালে তাহার বিরুদ্ধে অধের্ক সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া গেছে আসামীরা জামিনে মুক্তি পাইলে মামলা তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হইতে পায়ে।এ বিষয় কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল মিয়া জানান। আসামী রহিম আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী সে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে ও ৫ আগষ্টের আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর এক রাতে দল বদল করে বি,এন,পি নেতা পরিচয় দিয়ে ইসলাম পুর, নবাববাড়ি, বাদামতলীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করেছে।চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে নবাববাড়ি পুকুর পাড় চমনের গলিতে চর্টার সেলে মারধর করতো সে ১৬ ই জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তিনি আরও জানান রহিম পেশাদার একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী, পুলিশ রহিমের অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।