বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক- ননদের ছেলে মোহিত মারওয়ারের বিয়ের দাওয়াতে দুবাই যান শ্রীদেবী। সঙ্গে স্বামী বনি কাপুর ও মেয়ে খুশিও ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে শেষে মেয়ে খুশিকে নিয়ে মুম্বাই ফেরেন বনি। শ্রীদেবী থেকে গিয়ে ছিলেন। স্ত্রীকে চমকে দিতে বনি শনিবার বিকেলে দুবাই ফিরে যান।
প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলার পরে বনিই বলেছিলেন, এ বার ডিনার করা যাক! পরে রাতের খাবার খেতে যাবেন বলে বাথরুমে তৈরি হচ্ছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু, অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বেরোচ্ছেন না দেখে উদ্বিগ্ন বনি বেশ কয়েক বার দরজায় ধাক্কা দেন। তাতেও সাড়া না মেলায়, তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। অচৈতন্য শ্রীদেবী তখন শুয়ে পানি ভর্তি বাথটবে।
এর পর বনি নানা ভাবে স্ত্রীর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় এক বন্ধুকে ফোন করেন বনি। তার পর ডাকা হয় পুলিশ। কিন্তু, কোনও কিছুতেই শ্রীদেবী আর সাড়া দেননি। পরিবারের সূত্রের বরাত দিয়ে দুবাইয়ের অন্যতম সংবাদপত্র খলিজ টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
খলিজ টাইমসের খবরে বলা হয়, মৃত্যুর আগে দুবাইয়ের জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারের হোটেল রুমে একাই ছিলেন শ্রীদেবী। তাদের দাবি, বিয়ে মিটে যাওয়ার পর বনি কপূর ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে মুম্বই ফিরে এসেছিলেন। থেকে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। কিন্তু, শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে ফের দুবাই উড়ে যান বনি। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ারে পৌঁছে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তার পর মিনিট ১৫ দু’জনে চুটিয়ে আড্ডাও দেন।
এর পরেই স্ত্রীকে ডিনারের প্রস্তাব দেন বনি। সেই মতো শ্রীদেবী ফ্রেশ হতে বাথরুমে ঢোকেন। কিন্তু, অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও স্ত্রী বেরোচ্ছেন না দেখে বনি বহু বার দরজা ধাক্কাধাক্কির পর তা ভেঙে অচৈতন্য স্ত্রীকে তুলে আনেন জলভর্তি বাথটব থেকে। তার পর এক বন্ধুকে ফোন করে ডাকেন। পরে স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ পুলিশকে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। এর পর অভিনেত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রশিদ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা জানান, অনেকটা আগেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।
সোমবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, ফরেন্সিক বিভাগের করা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। সেই সমস্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁর দেহ মুম্বই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে।
কারণ, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা যাবে না। সবটা মিটে যাওয়ার পর শ্রীদেবীর দেহ মুম্বই নিয়ে আসা হবে।