মো শাহ নেওয়াজ আলী মোল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র এর হাত থেকে জবরদখল বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি চায় মনিরুল এর পরিবার ,

আমি মো মনিরুল ইসলাম ৩৫ পিতা মো ফজলুর রহমান মাতা মৃত ময়না বিবি চাঁচকৈড় বাজার পাড়া ডাকঘর চাঁচকৈড় বাজার, উপজেলা গুরুদাসপুর, জেলা নাটোর। আমার বাবার সাথে বনিবনা না হওয়ায় আমার মা আমাদের দুই ভাই বোন কে নিয়ে নানীর বাড়িতে উঠে। আমার মায়ের নানি সখেজান বেওয়া সন্তুষ্ট হয়ে তার ভগ দখলকৃত জমি থেকে ৫ শতাংশ জমি ৩৬৫০০ টাকার বিনিময় গত ০৫/১১/২০০৬ ইং তারিখে আমার মায়ের নামে রেজিস্ট্রি মূল্যে ভোগ দখল বুঝিয়ে দেন। আমরা উল্লেখিত জমিতে ঘরবাড়ি করে ভোগদখলরত থাকা অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র এর সাথে আমার মায়ের ২য় বিয়ে হয়। আমাদের পরিবারে ঘরের প্রয়োজন হওয়ায় পূর্বের তৈরিকৃত টিনের ঘর ভেঙ্গে আমার মা বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন নিয়ে ১তলা পাকা বিল্ডিং তৈরি করেন। সে লোনের দায়ভার আমিসহ আমার পরিবার এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। ভাড়া পাওয়ার লক্ষ্যে আমার মা ও উল্লেখিত সৎ বাবার সমন্বয়ে উক্ত বাড়ির ২য়,৩য়,৪র্থ তলা কমপ্লিট করা হয়। আমার সৎ বাবা শুধুমাত্র তার ঔরসের মেয়ে সিমির লেখা পড়া ও ভবিষ্যতের জন্য আমার মাকে ঢাকায় বাসা ভাড়া করে রাখতেন। আমরা ভাই-বোন বাড়ির কাজকর্ম করে দিন অতিবাহিত করতে থাকার প্রাক্কালে হঠাৎ আমার মায়ের চরম অসুস্থতা ও ঢাকায় সুচিকিৎসার কথা জানতে পারি। সৎ বাবার ভয়ে কোন কথা বলতে না পারার এক পর্যায়ে জানতে পারি যে আমার মা মারা গেছেন। পরবর্তীতে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি, আমার সৎ বাবার সে-সম্পর্কের কোন মহিলার মাধ্যমে চিকিৎসার অনিয়ম করে আমার মাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আমার মায়ের অকাল মৃত্যুর বিষয়ে সঠিক জবাব চাওয়ায় আমি আমার সৎ বাবার চক্ষুশুল হই। প্রায় ১,১০,০০,০০০/- (এক কোটি দশ লক্ষ) টাকার বাড়ি আত্মসাৎ করতে ও ব্যবসা বাণিজ্য থেকে বিতাড়িত করতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এবং ভতভীতি ও হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। অসৎ উদ্দেশ্যেই প্রতিনিয়ত আমাদের ফ্লাটের রুমের মধ্যে তিনি বাইরের লোকজন এনে জুয়ার আসর বসাতেন। উনার ক্ষমতার ভয়ে সবকিছু মুখবুজে সইতে থাকলেও আমার অনুপস্থিতিতে গত ১৬/০৯/২০১৯ ইং তারিখে তার নিজের ভাই ফারুক মোল্লা (৩৫) ও নিজস্ব লোকজনদের দিয়ে আমার স্ত্রীসহ সন্তানদের খাবার থেকে উঠিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং মালামাল ভাংচুর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টির কারণ জানতে চাওয়ায় তিনি বাড়ি বা এলাকার সীমানায় পা রাখলে আমিসহ আমার পরিবারের জীবন নাশের হুমকি দেন ও কোনো বাবা থাকলে নিয়ে আসার কথা বলেন। সেই থেকে অদ্যবধি আমাদের ন্যায্য হিস্যার শেষ সম্বল হারিয়ে এক ব্যাগ কাপড় চোপড়ের সংসার নিয়ে ভাসমান অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় খুঁজে বেড়াচ্ছি। অর্ধহারে-অনাহারে বিভিন্নস্থানে দিন কেটে গেলেও আমার ২মেয়ের লেখাপড়া ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমার ঘরের মালামাল বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে ও দামী মালামাল নিয়ে বাসা খালি করে ভাড়াটিয়া উঠিয়েছে। আমার প্রাপ্য ঘর ভাড়াসহ সব কাজকর্ম ও আয়ের পথ বন্ধ করতে আমার পেছনে লোক লাগিয়ে রেখেছে। আমার মায়ের উত্তরসূরি হিসেবে উক্ত জমি ও বাড়ির স্বত্বর সত্ববান হয়েও দলীয় ক্ষমতা এবং মেয়রের পাওয়ার খাটিয়ে আমার সৎ বাবা অন্যায় ভাবে আমাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করিয়াছে। এসব বিষয়ে পরিত্রাণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মাননীয় সংসদ সদস্য/ উপজেলা চেয়ারম্যান/ থানা পুলিশ/ পুলিশ সুপার দায়স্থ হলেও বিভিন্ন অজুহাতে তারা অপারগতা প্রকাশ করে। সব জায়গায়ই তিনি কালক্ষেপণ করে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখায় আমার পরিবারকে নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। উপায়ন্তর না পেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ, একান্ত সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনার আশায় অতি কষ্টে ঢাকায় আসতে বাধ্য হয়েছি এবং মানবিক আবেদন জানাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতেছি।

আমরা কোন জায়গায় বিচার না পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি অভিযোগ দিয়েছি, আমরা যেতে দেশে সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার পাই,