শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
যাত্রাবাড়ি ও শ্যামপুর থানা এলাকার কুখ্যাত চাদাবাজ অস্ত্র ব্যবসায়ী টোকাই হাবিবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মত যাত্রাবাড়ি ও শ্যামপুর থানা এলাকার কুখ্যাত চাদাবাজ অস্ত্র ব্যবসায়ী টোকাই হাবিব কদমতলী থানা পলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গেছে। কদমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় গত ২৫ আগস্ট সকালে রাজধানীর কদমতলী থানা এলাকার পলাশপুর গ্যাসরোডে আত্মগোপনে থাকা টোকাই হাবিবকে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম যাত্রাবাড়ি থানার ১২ (৫) ১৭ নং (মানব পাচার ) মামলার ওয়ারেন্টমূলে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২০ জুলাই ২০২২ ইং তারিখে কদমতলী থানার মামলা নং ৬২ (৫) ১৮, ধারা: মাদকদ্রব্য নিঃ আঃ ১৯ (১) এর ৭(ক)/২৫ মূলে গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে টোকাই হাবিব গা ঢাকা দেয়। যাত্রাবাড়ি থানার ন এফআইআর নং ৫১৪/২০২১ সূত্রে জানা যায় বিগত ১২ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে জুয়া খেলা অবশায় জুয়ার বোর্ড থেকে( র্যাব ১০ )টোকাই হাবিবকে কয়েকজন সহযোগী সহ গ্রেপ্তার করে। জামিনে এসে টোকাই হাবিব পুনরায় পূর্বের চেয়ে আরো দাপটের সাথে সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এছাড়াও টোকাই হাবিবের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও জিডি রয়েছে । শুধু কদমতলী থানায় টোকাই হাবিবের নামে মারধর ও চাঁদার দাবীতে জীবন নাশের হুমকীর অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তি যে সব জিডি করেছেন তাধ্যে জিভি ১৩৮৩ তাং ২১/১১/২০২১ অভিযোগকারী সহিদুল(হাভি), জিডি নং ৫৯তাং ৩১/১০ ২০২১ অভিযোগকারী মো: কামাল, জিডি নং ১৮৩ তাং ০3/10/2021 অভিযোগকারী রুবেল সিকদার, জিডি নং ৫০ তাং ০১/১০/২১ অভিযোগকারী শহিদুল ইসলাম, জিডি নং ৪৮ তাং ০১/১০/ ২০২১ অভিযোগকারী মোঃ হান্নান অন্যতম। এছাড়াও টোকাই হাবিবের পিসিপিআর পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে দেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে আরো অসংখ্য মামলা ও জিডি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টোকাই হাবিৰ অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সকল শাখায় সিদ্ধহস্ত
তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত মামলা ও জিডির ধরন দেখে সহজেই বুঝা যায় । কে এই টোকাই হাবিব : জানা যায় টোকাই হাবিবের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বেশ কিছু বছর পূর্বে ঢাকায় এসে প্রথমে রাস্তায় কাগজসহ নানাবিদ রিজেক্ট দ্রব্যাদি কুঁড়িয়ে তা ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো বলে লোকে তাকে টোকাই হাবিব বলে ডাকতো। একসময় “টোকাই” উপাধি গোচাতে সো ঝাঁলমুড়ি বিক্রি শুরু করে। এ সময়ে হাবিব মাদকাসক্ত হয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। পরবর্তীতে মাদক সেবনকারী থেকে হাবিব মাদক ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে, আর মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের জন্য কদমতলী, শ্যামপুর ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহি নী গড়ে তোলে। টোকাই হাবিবের বাহিনীর অন্যতম
সদস্য হলো পলাশ, আনসার, আলম, শামিম (সিএনজি গ্যারেজ মালিক), জাহিদ চৌধুরী, খোকন, মানিক ও জনি । টোকাই হাবিবের বিরুদ্ধে ফ্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদেহ ব্যবসার পাশাপাশি খদ্দেরকে বাসায় আটকিয়ে উলঙ্গ ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে হাবিব অগাধ সম্পদের মালিক হয়েছে। এরপর শ্রমিক লীগের স্থানীয় এক নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে শ্রমিক লীগের অন্যান্য নেতা কর্মীর সাথে পরিচিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় এক সময়ে হাবিব ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬০ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতির পদ লাভ করে। এই পদ পাওয়ার পর হাবিব আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে শ্রমিক লীগের সামান্য একটি ওয়ার্ড সভাপতির পদ যেন হাবিবের নিকট চাঁদাবাজি, জুয়ার বোর্ড বসানো, মাদক অস্ত্র ব্যবসার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কয়েকদিন পূর্বে টোকাই হাবিব ও জাহিদ বাহানি মিলে দনিয়ায় বর্নমালা স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি আব্দুস ছালাম বাবুর অপসারণের দাবীতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে গেলে স্কুল কর্তপক্ষ ও এলাকাবাসি গণধোলাই দিলে অবস্থা বেগতিক দেখে টোকাই হাবিব ও জাহিদ বাহীনি পালিয়ে যায় টোকাই হাবিবের খুঁটির জোর কোথায় : সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, টোকাই হাবিবের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা হলেন কদমতলী থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মো.হাবিবুর রহমান উজ্জল, সিএনজি গ্যারেজ মালিক শামিম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৬০নংওয়ার্ডের অন্তর্গত নুরপুরের জাহিদ চৌধুরী। এই জাহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধেও এলাকার রাস্তা প্রস ও রিপিয়ার করার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের লক্ষে জাহিদ চৌধুরী টোকাই হাবিব বাহিনীকে ব্যবহার করে আগামী কাউন্সিলে ৬০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার জন্য বিভি ন্ন মহলে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ৬০নং ওয়ার্ডের ময়লার টেন্ডারের সিডিউল ক্রয় করে মেয়র তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে হাবিব-জাহিদ-শামিম সিন্ডিকেটই টেন্ডার পাবে মনে সাব কন্ট্রাক্ট বিক্রি করার জন্য অনেকের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নি”ছে বলে জানা গেছে । অথচ ৬০নং ওয়ার্ডে ২০জনেরও বেশী ব্যক্তি ময়লার টেন্ডারের সিডিউল ক্রয় করেছে এবং আগামী ০১ সেপ্টেম্ব ফলাফল ঘোষনার দিন ধার্য রয়েছে বলে জানা গেছে। টোকাই হাবি ২৪ ফুট ৯নং রোডে মসজিদের পাশে শামিমের সিএনজি গ্যারেজে ৬০নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দনিয়ায় নুরপুরের জাহিদ চৌধুরীর বাসা রাতে