হঠাৎ দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ, ভোগান্তিতে হাজারো যাত্রী।
কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু,
কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে দক্ষিণবঙ্গ গামী লঞ্চের স্টাফদের কর্মবিরতি ঘোষণার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে দক্ষিণবঙ্গ চলাচলকারি সমস্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। এতে করে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী সাধারন।
বিআইডব্লিটিএ ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এ্যাডভেঞ্চার ৯ লঞ্চ এর মাস্টার আসলামের নামে মেরিন কোর্টে একটি মামলা চলমান ছিল এবং উক্ত মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।আজ সকালে কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন বাতিল করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। কর্মবিরতি ঘোষণার পরপরই ঘাটে নোংগর করা সমস্ত নৌযান ঘাট থেকে সরিয়ে মাঝনদীতে নিয়ে নোঙ্গর করে রাখা হয়। হঠাৎই নৌযান বন্ধে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলকারি হাজার যাত্রীকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে।
ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য ঘাটে আসা যাত্রী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তাই বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে দেখি লঞ্চ চলাচল বন্ধ। দুপুর থেকে অপেক্ষা করছি এখন উপায়ন্তর না দেখে বাসে রওনা হব।
সরজমিনে গিয়ে এরকম হাজারো যাত্রী কে অবর্ননীয় ভোগান্তি পোহাতে লক্ষ করা গেছে। অনেকে ছোট ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে, বাড়ি ঘরের বিভিন্ন মালামাল নিয়ে লঞ্চ টার্মিনালে দুপুর থেকে ঠায় বসে আছে।
লঞ্চ ধর্মঘট প্রসঙ্গে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কয়েকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায় আমাদের দাবি এডভেঞ্চার 9 এর মাস্টার কে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে, আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গে জানতে ঢাকা নদী বন্দরের ইনচার্জ ও বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক গুলজার আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com