শেখ হাসিনার বিশাল ইমেজ আর বর্তমান সরকারের টানা ১০ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সামনে রেখে ভোট প্রচারণায় নামছে আওয়ামী লীগ। ভোটের কৌশল ও সার্বিক প্রচারণার পরিকল্পনাও তৈরি করা আছে। অতীতের মতো তারুণ্যের জন্যও থাকবে একগুচ্ছ পরিকল্পনা।
১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করবেন তিনি।
এরপর সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরাণ (র.) মাজার জিয়ারত এবং সেখানে জনসভা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এরপর উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা এবং কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলের কয়েক কেন্দ্রীয় নেতাকে গণভবনে ডেকে নেন শেখ হাসিনা। এ সময় সফরসূচি চূড়ান্ত করতে তিনি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, দলের মনোনয়নবঞ্চিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে ডেকে নেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাক পাওয়াদের মধ্যে ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এ সময় গণভবনে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আ খ ম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোটের মাঠে সাংগঠনিক লোক দরকার হয়। তা না হলে ভোটের ফলাফল পাওয়া যায় না। কাজেই তোমাদের সবাইকে দলকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে কাজ করতে হবে। এখন থেকে তোমরা নিয়মিত ধানমন্ডির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসে সারা দেশে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সেগুলো সমাধান করবে। একই সঙ্গে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া, পরবর্তীতে সিলেট, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি জেলায় নির্বাচনী সফরের তারিখ চূড়ান্ত করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিল। সবার মধ্য থেকে যিনি যোগ্য আমি তাকেই প্রার্থী করেছি। সবাইকে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ স্বাধীনতাবিরোধীরা, দলছুট নেতারা এক হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কাজেই আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তারা সফল হতে পারবে না।
সম্পাদকঃ ইমরান হোসেন ইমু
অফিসঃ মাহফুজা প্লাজা (২য় তলা), কদমতলী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০
মোবাইলঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫, ০১৮১৯-৫০১১২৫
বার্তা বিভাগঃ ০১৭৫৬৬২৯৩০৫
ইমেইলঃ songbadsobsomoy2@gmail.com