বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
ইমরান হোসেন ইমু।রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে ২৪ হাজার ৮৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯ টার দিকে একটি বিশেষ অভিযানে ওই চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আটককৃত চার জন হলেন, মোছাঃ তারাবানু (৪৮), মোঃ আলিফ হোসেন (২১), সুমাইয়া রহমান স্বর্ণা (১৯) ও মোছাঃ শিখ খাতুন (২৩)। এদের কে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় তারা তাদের পলাতক পাঁচ সহযোগীর নাম বলেন। এরা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার, সিরাজগঞ্জ সদর থানাধীন, ব্রাক্ষন বয়ড়া এলাকার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজের দুই ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (৩২) ও মোঃ রাশিদুল ইসলাম (৪০)। অপর তিন সহযোগী হলেন, মোঃ ইব্রাহীম(৪৫), মোঃ জামাল হোসেন (৩০) এবং মোঃ আলম।
র্যাব জানায়, র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ আশরাফুল হক এর নেতৃতে একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুক্তি ফিলিং স্টেশনের সামনের পাকা রাস্তায় একটি চেকপোস্ট বসানো হয়। এসময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সেন্টমার্টিন পরিবহনের সন্দেহভাজন যাত্রিদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২৪ হাজার ৮৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে মাদক বিক্রিত নগদ ৩৪ হাজার ৬শ’ ৭০টাকাসহ তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ আশরাফুল হক আলোর বার্তাকে বলেন, আটককৃত প্রত্যেকেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মাদক ব্যবসা তাদের পারিবারিক ব্যবসা। তারা প্রতিনিয়ত কক্সবাজার হতে ভিবিন্ন কৌশলে মাদক পচার করে সেটি রাজধানীর ঢাকা সহ দেশের ভিবিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে একাধিকবার বাহন পরিবর্তন করে বিমান,রেল,নদী ও সড়ক পথ ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে প্রতিনিয়ত মাদক চালান নিয়ে আসছিল ।
তিনি আরও বলেন, তারা মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মহিলাসহ স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রীদের এই ব্যবসায় ব্যবহার করে থাকে। তাই এই চক্রের অপর পাঁচ আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।