রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় প্রবাসী জাফরকে ক্রসফায়ারে হত্যা, চকরিয়ার ওসিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে পটিয়া আদালতে মামলা
সেলিম চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিঃ-চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মোঃ জাফর নামের একব্যক্তিকে পটিয়া থেকে তুলে নিয়ে চকরিয়ার পুলিশ ক্রসফায়ার দেওয়ার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৬ আগস্ট (রবিবার) সকালে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন প্রবাসী জাফরের মামা ও বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রামের সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৩১ জুলাই রাতে সেনাবাহনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিংহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার ২ দিন আগে প্রবাসী জাফরকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয় বলে পরিবারের দাবি। প্রধান আসামী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিববুর রহমান। আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কথামৌজা গ্রামের মো. আবদুল আজিজের পুত্র মো. জাফর দীর্ঘদিন ধরে ওমান প্রবাসে ছিলেন। দেশে করোনাভাইরাস শুরুর আগে ওমান থেকে জাফর দেশে ফিরেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে জাফর আর বিদেশে যেতে পারেনি। গত ২৯ জুলাই রাতে ওমান প্রবাসীকে পটিয়ার বাড়ি থেকে সাদাপোষাকধারী কিছু ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর কাছ থেকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রবাসীর পরিবার ওই টাকা দিতে পারেননি। ফলে ২ দিন পর প্রবাসীর পরিবারের কাছে চকরিয়া থানা পুলিশ ফোন করে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য সংবাদ দেন। প্রবাসীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন চকরিয়া থানা থেকে লাশ গ্রহণ করে দাফন করে।
পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতের বাদীর পক্ষের আইনজীবি নূর মিয়া জানিয়েছেন,ক্রসফায়ারের নামে ওমান প্রবাসীকে চকরিয়ায় নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। প্রবাসী জাফরের মামা মুক্তিযোদ্ধা আহমদ নবী বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিংহা মোহাম্মদ রাশেদ খুনের ঘটনায় বর্তমানে গ্রেফতার হয়ে তদন্তের স্বার্থে র্যাবের হেফাজতে রয়েছে প্রধান আসামী পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত ও বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ দাশ।
একইদিন পটিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সিএনজি চালক মো. হাসান নামের একব্যক্তিকে চকরিয়া থানা পুলিশ তুলে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। সে পৌরসভার পাইকপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র বলে পৌর কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ছবির ক্যাপশনঃ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে তুলে নিয়ে চকোরিয়া থানার পুলিশ মোঃ জাফর নামে এক প্রবাসীকে ক্রসফায়ার হত্যা করে এ ব্যাপারে আদালতে মামলা রুজু হয়েছে।
উপরে ছবি