শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের জন্য ঘুস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মজিবর রহমান খন্দকারের নামে।
মোঃ নিজাম উদ্দিন স্বাধীন
বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগীতে মুজিব শতবর্ষের হতদরিদ্র ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ এর ঘর বরাদ্দ চলছে।
ইউনিয়ন পরিষদের তালিকাপ্রাপ্ত বরাদ্দের ঘর হতদরিদ্রকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য ঘরপ্রতি বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবর রহমান খন্দকার নিচ্ছেন ৪০-৭০ হাজার টাকা করে।
টাকা না দিলে ঘর পাবেনা কেউ ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাত দিয়ে এমনটিই বলেছেন উপজেলা ১নং বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর রহমান খন্দকার।
এ ঘটনায় বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন বাজার, নিয়ামতি বাজার, ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মানের স্থান ডিসিরহাট বাজারে সকল মানুষের মুখে মুখে ইউপি সদস্যের টাকা নেওয়ার কথা আলোচনা আসে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
ইউপি সদস্য মো মজিবর রহমান খন্দকার।
তবে সরজমিন গিয়ে জানা যায় যে শুধু মজিবর রহমান খন্দকার না অন্য আরো দুই ইউপি সদস্য নিজেদের লোকদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য ৩ নং ওয়ার্ড ও ৮ নং ওয়ার্ড থেকেও টাকা তুলেছেন। এবং ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর খন্দকার এর নামে টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা ও রেশন কার্ড করে দিবে বলে এলাকার মানুষের থেকে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন তিনি।
এদিকে চেয়ারম্যান বলেছেন ইউপি সদস্য ঘর পাইয়ে দিতে ঘুসগ্রহণ কিংবা দাবি করলে দায়ভার ইউনিয়ন পরিষদের না
জানা যায় ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় বেতাগী উপজেলায় ১৯৯ টি ঘর বরাদ্দ পায়।ভুমিহীনদের এ প্রতিটি ঘর বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়ন ৯ নংওয়ার্ডে ডিসিরহাট বাজারে ১২ টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।
নিয়মানুসারে তালিকায় উল্লিখিত প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মিলে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন ছাড়া ভুমিহীন খুঁজে তালিকা তৈরি করে ইউএনও বরাবর জমা দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
আর এই ঘর নির্মানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওপর এবং ঘর নির্মাণের সার্বিক পরিচালনা করবেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)।
এলকাবাসীর সুত্রে জানা গেছে বেতাগীর বিবিচিনি ইউনিয়নের ৩,৮,৯ নং ওয়ার্ডে ভুমিহীনদের মধ্যে ১২ টি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার হবে।
এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান বরাত দিয়ে তার লোকজনদের ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৪০-৭০- হাজার টাকা করে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।
পত্রিকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলকার একাদিক ভুক্তভোগীরা বলেন মজিবর মেম্বার আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকায় যা খুশি তাই করেন।
এবিষয় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ মজিবর রহমান খন্দকারের মোবাইল ফোনে একাদিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় নি।
অভিযোগের বিষয়ে বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ নওয়াব হোসেন নয়ন বলেন টাকা নেওয়ার বিষয় আমার জানা নেই আর যদি মেম্বার টাকা নিয়ে থাকে তার দায়ভার অবশ্যই তাকে নিতে হবে, মজিবর মেম্বার তো প্যানেল চেয়ারম্যান এই বিষয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন বলে আমরা পরিষদ মিটিং ডেকে এবিষয় তদন্ত করবো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুহৃদ সালেহীন বলেন প্রধানমন্ত্রী র উপহারের ঘর এতে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই তবে ঘটনা তদন্ত করে সততা পাওয়া গেলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।