মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
আওয়ামীলীগ নেতার অফিসে যুবককে আটক লেখে মারধর,মোবাইল ও টাকা লুট।
টিটু আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির ছত্রছায়ায় তার ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে এক যুবককে মারধর করে টাকা-পয়সা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ কারী মোহাম্মদ আমান (২৭) থানায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা নিতে রাজি হয়নি থানা পুলিশ।
গতকাল রাত দশটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন কালিগঞ্জ জোড়া ব্রিজ এর কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, আমান ও তার এক বন্ধু গুদারাঘাট থেকে তাদের বাসা আমবাগিচা যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কালিগঞ্জ জোড়া ব্রিজের কাছে ১০/১৫ জন যুবক তার সাথে থাকা বন্ধুকে ধাওয়া দেয়, এতে তার বন্ধু দৌড়ে পালিয়ে গেলে পরবর্তীতে আমানকে ওই যুবকরা ধরে টেনে হিচড়ে শুভাঢ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী বাসেরের অফিসে নিয়ে যায়। এরপর হাজী বাসেরের অফিস সহকারি জুম্মন ও আরো কয়েকজন মিলে আমানের পকেটে থাকা ২৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পরে হাজি বাসের অফিসে প্রবেশ করলে তার কাছে আমান ঘটনা বলতে গেলে হাজী বাসের উত্তেজিত হয়ে তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে অফিস থেকে বের হতে বলে, তখন টাকা ফেরত না দিলে আমান অফিস থেকে বের হতে না চাইলে জুম্মন, শাহাদাত, রিয়াজ, রাব্বি, রাসেলসহ অজ্ঞাত আরো দশজন তাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে বাম হাতের কনুই ভেঙ্গে ফেলে এবং কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে সমস্ত শরীর নীলাফুলা জখম করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযোগকারী আমানের বড় ভাই ইমরান হোসেন ইমু বলেন, আমার ভাইকে অন্যায় ভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার অফিসে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় গেলে সেখানে ওসি মামলা না নিয়ে জিডি করতে বলে। পরবর্তীতে জিডি করতে গেলেও সেখানে হাজী বাসেরের পাঠানো লোকজন কয়েক মামলার আসামি মামুন কাগজপত্র টেনে নিয়ে যেতে চাইলে বাধার মুখে সে ফিরে যায়। আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।