রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
কেরানীগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযো।
সূত্র প্রথম আলো
ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুই নারীকে লাঞ্ছিতের ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়নের ভাংনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
ওই সাংবাদিকের নাম এনামুল হাসান। তিনি দৈনিক আমার সময় পত্রিকার সাংবাদিক। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন মো. জাহিদ (৩০), সুজন মিয়া (২৮), মো. নাহিদ (২৫), শান্ত মিয়া (২৪), মো. রাহাত (২৪), মো. আহাদ (২৬), রোকন মিয়া (৪৮) ও মো. নাফিম হোসেন (২৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে ভাংনা এলাকার কামরুল ইসলামের ছেলে সিরাতুল ইসলাম (১০) বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় সুজন মিয়া (২৮) ওই শিশুকে চড় মেরে তাড়িয়ে দেন। পরে ওই শিশুর মা সুমি আক্তার (৩০) বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে সুজন ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী সুমিকে মারধর করেন। এ সময় সুমির বোন রুমা আক্তার (২৪) এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সুমি ও তাঁর বোনকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে সংবাদ সংগ্রহের জন্য এনামুল হাসান ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ভুক্তভোগী দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সুজন ও তাঁর সহযোগীরা এনামুলের ওপর চড়াও হন। পরে তাঁরা লোহার রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে ও কিলঘুষি মেরে এনামুলকে গুরুতর আহত করেন।
এনামুল বলেন, হামলার সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে নাহিদ তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। একপর্যায়ে জাহিদ, সুজনসহ অন্যরা তাঁকে মাটিতে ফেলে লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটান। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জাহিদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া বলেন, সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।