শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
শামীম আহম্মেদ :
মানবতার টানে সংগঠন। মানবতার জন্য সংগঠন এর উজ্জল দৃষ্টান্ত উত্তোরণ ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি হেডকোয়াটার মোঃ হাবিবুর রহমান পিপিএম (বার) বিপিএম এর হাতেগড়া সংগঠন এটি। তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যানও বটে। সংগঠনটি এরই মধ্যে সামাজিক বেশ কিছু ব্যতিক্রমী কাজের মাধ্যমে আমাদের আমাদের ঘুনেধরা ও অন্ধ সমাজের চোখ খুলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। সংগঠনটির উদ্যোক্তরা প্রমাণ করেইে ছাড়ল যে মানুষই পাওে মানুষের বিপদে এগিয়ে আসতে। অথবা মানুষই পারে তাদের সমাজকে বদলে দিতে। বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি হেডকোয়াটার মোঃ হাবিবুর রহমান পিপিএম (বার) বিপিএমতার এ উত্তরন নামক একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমাদের দেশের বেঁদে সম্প্রদায় ও হিজড়া পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জীবন জীবিকা পরিবর্তনের জন্য এবং বাল্য বিয়ে রোধে কাজ কওে যাচ্ছেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে গার্মেন্টসহ নানা কল কারখানা। আর এখানে কাজ করেন এ সব বেঁদে ও হিজড়া স¤প্রদায়ের ছেলে-মেয়েরা। যার ফলে পাল্টে যাচ্ছে এসব পরিবারের আগামী প্রজন্মের বভিষ্যৎ। উত্তরন ফাউন্ডেশনের প্রধান লক্ষ্য দেশে পিছিয়ে পড়া বেদেঁ – হিজড়া জণগোষ্ঠি এবং পথশিশুদের জীবনমান নিয়ে কাজ করা। এদেরকে জীবনের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন করছেন এ সংগঠনটি। তারই ধারা বাহিকতায় সোমবার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধিন চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে উত্তরন ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে বেঁদে পরিবারের এক মেধাবী ছাত্রীর বিয়ে । সদ্য পরিণীতা কন্যার নাম নূরজাহান আক্তার স্বর্ণালী(১৮)।সে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর বর মো. মহসীন একজন কসমেটিক ব্যবসায়ী। উভয় পরিবারের পূর্বপুরুষগণই একসময় বেদেঁ সম্প্রায়ের ছিলো। তবে বর্তমানে তারা তাদেও পূর্বপূরুষদেও পেশায় আরনেই। কন্যার বাবা তোফাজ্জল এখন আর সাপখেলঅ কিংবা তাবিজ বিক্রি করেন না। পেশা পরিবর্তন করে তিনি এখন ইলেকট্রিকের মিস্ত্রির কাজ করেন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা ফরিয়া গ্রামে হলেও বর্তমানে তারা কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলা এলাকায় বসবাস করছে। অপরদিকে বর মোঃ মহসিন (২৫)। সে বর্তমানে একজন কসমেটিক ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার থানার করিমগঞ্জ এলাকায়। উত্তরন ফাউন্ডেশনের সম্পাদক কামরুল হাসান শায়ক জানান, পুলিশের ডিআইজি হেডকোয়াটার মোঃ হাবিবুর রহমান দেশে পিছিয়ে পড়া বেঁদে-হিজড়া ও পথ শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। এদের জীবনের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি কাজ করছেন তার প্রতিষ্ঠিত উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যে সকল কাজ করছেন এদের মধ্যে বেদেঁ ও হিজড়াদের পাল্টে দিয়েছেন। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দেখেছেন সাভার এলাকায় একটি বিরাট জনগোষ্টি সাপ খেলা সিঙ্গা লাগিয়ে মানুষের সাথে প্রতরনা করে যাচ্ছে। আবার ছেলেরা মূল ধারা থেকে সরে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। এরপার হাবিবুর রহমান সাহেব এ নিয়ে অনেক গবেষনা করেছেন। এ বিশাল জনগোষ্ঠির সাথে মিশেছে। পুরো এ জনগোষ্ঠিকে আলোর ধারায় ফিরে আনার জন্য কতগুলো পরিকল্পনা হাতে নেন। তাদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এ কাজ গুলো করলে তারা আর পিছিয়ে থাকবে না তারা মূল জীবন ধারা ফিরে আসবে। এর আগে ঢাকার সাভার এলাকায় ১৫ বছরের তিনটি মেয়ে বিয়ে হতে যাচ্ছিলেন,তখন তিনি বাধা দিয়ে সে তিন মেয়ের ১৮ বছর পূর্ন হলে বিয়ের দায়িত্ব নিয়ে তাদের বিয়ে ম্পন্ন করেন। তখন থেকে তারা হাবিবুর রহমান সাহেবকে তারা তাদের দেবতার মত দেখেন। সে ধারা বাহিকতায় সোমবার কেরানীগঞ্জে নুর জাহান আক্তার স্বর্নালী ও মোঃ মহসিন এর বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। গত তিন মাস আগে মেয়ে মা সুমি আক্তার ও বাবা তোফাজ্জল হোসেন হাবিবুর রহমান স্যারের অফিসে গিয়ে বিস্তারিত বললে তিনি আমাদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করেন। অবশেষে সোমবার বিয়ের অনুষ্ঠান করেন। আমরা নতুন এ দম্পতির জন্য মঙ্গল কামনা করছি । বিয়ে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী এস এম মাহবুব হাসান, ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম সেলিম মোল্লা, যমুনা ব্যাংক এর মার্কেটিং অফিসার নুর নবী খান, এস এস পি প্রবি (শিক্ষা নবিস) মোঃ আউয়াল হোসেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুববায়ের, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম, পরিদর্শক অপারেশন মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ। #