সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জে ধোপা বিল্লাল নামে এক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিনতাইকারী গনপিটুনীতে নিহত।
কেরানীগঞ্জ সংবাদদাতা মোঃ ইমরান হোসেন ইমু।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী বিল্লাল ওরফে সাদা বিল্লাল ওরফে ধোপা বিল্লাল কে ছিনতাই চেষ্টাকালে জনতা ধরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত বিল্লালের পিতার নাম আব্দুল মমিন, গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। বর্তমানে চার সন্তানের জনক ধোপা বিল্লাল দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়াকে নিয়ে জিনজিরা মডেল টাউন এলাকায় বাবুল হাজির বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করত। রবিবার রাত সোয়া আটটায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা থানা ঘাটের পাশে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা বিবরণীতে জানা যায়, ধোপা বিল্লাল ওরফে সাদা বিল্লাল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী। জিনজিরা ফেরিঘাট থেকে বাশপট্টি এলাকায় বেরিবাধে সে নিয়মিত ছিনতাই করত। রাত সোয়া আটটার দিকে বেরিবাধ মাঞ্জাপট্টি এলাকা দিয়ে এক যুবক আসার সময় তাকে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে থানাঘাটের মসজিদের সামনে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে গণপিটুনি দিলে পরনের লুঙ্গি গেঞ্জি ছিড়ে মারাত্মক আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতর স্ত্রীর সোনিয়া জানায়, রাত সোয়া আটটার দিকে একটি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোন করে জানায় আমার স্বামীকে কে বা কারা থানাঘাট এলাকায় মারছে। আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি তার নিথর দেহ পড়ে আছে। আমার স্বামী যদি অন্যায় করে থাকে, ছিনতাইকারী হয়ে থাকে তাহলে দেশের প্রচালিত আইনে তার বিচার করতো। এভাবে জনসম্মুখে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে আমার চার সন্তানকে এতিম করে দেয়া হয়েছে। এখন আমি এই সন্তানদের নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবো, আমি এই হত্যার বিচার চাই।
ঘটনাস্থলে লাশ দেখতে আসা আবুল হোসেন বলেন, ধোপা বিল্লাল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারি তার ভয়ে সন্ধ্যার পর নদীর পার বেলীবাধ দিয়ে হাটা যায় না। তার কাছে বড় ছোট কিছু নাই। সব সময় অস্ত্র নিয়ে ঘুরতো।এই পর্যন্ত ৫/৬ বার জেল খেটেছে ধোপা বিল্লাল।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন রশিদ জানান, গণপিটুনিতে বেরিবাঁধ এলাকায় একজন নিহত হয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ঘটনাস্থল নৌ পুলিশের এরিয়া পড়েছে। পুলিশ ঘটনার স্থান থেকে ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।