সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
টিকটক ও শর্ট ফিল্ম এর মডেল বানানোর নামে তরুণীদের ডেকে এনে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করা এক চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় এই চক্রের মূল হোতা বগুড়া জেলার ধুনট থানার রাঙ্গামাটি গ্রামের আলমগীরের ফকিরের মেয়ে নূরিতা ওরফে সুরাইয়া (২৩) গ্রেপ্তার করলেও চকরিয়ার অপর সদস্য মারুফ পলাতক রয়েছে।
আজ (২৭শে অক্টোবর) বুধবার সকাল ১১ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সহকারী পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহাবুদ্দিন কবির জানান, ভিকটিম সোনিয়াকে আসামি নূরিতা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শর্ট ফিল্মে অভিনয় করার কথা বলে ডেকে এনে একটি ঘরের মধ্যে বন্ধ করে তার সহযোগী মারুফসহ কয়েকজন কে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে ও হাত-পা বেঁধে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করে। সোনিয়া পরবর্তীতে মারধর সহ্য করতে না পেরে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য ৮০০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে, নিজের মোবাইল ফোন এবং ব্যবহৃত স্বর্ণালঙ্কার তাদের হাতে তুলে দিলে তারা ভিকটিম সোনিয়াকে চোখে কালো চশমা পরিয়ে রাতের অন্ধকারে বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় ঝোপের মধ্যে ফেলে যায়। সেখান থেকে বাসায় ফিরে পরদিন সকালে থানায় এসে ভিকটিম থানায় এসে অভিযোগ করলে তার অভিযোগ আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খালেদুর রহমান তদন্ত শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ মোকামপাড়া নান্নু মিয়ার বাড়ির দ্বিতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করে এই চক্রের মূল হোতা নূরিতাকে গ্রেফতার করে, এ সময় পুলিশের অভিযান টের পেয়ে তার সহযোগী মারুফ কৌশলে পালিয়ে যায়। মারুফ ও তার কয়েকজন সহযোগী কে গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।