শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
গণজাগরণ মঞ্চে স্লোগান দিয়ে সবার নজর কেড়েছিল লাকী আক্তার। বজ্রকন্ঠে টানা স্লোগান দিতে পারায় পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘স্লোগান কন্যা’ হিসেবে। ছিলেন বামধারার ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের একজন কর্মী। সেখান থেকে ২০১৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
সংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ লাকী আক্তারকে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির ৩৭তম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। লাকি আক্তার আসলেই লাকি বা সৌভাগ্যবতী। কারণ তার আগে মাত্র দুইজন নারীর ঐতিহ্যবাহী এই ছা্ত্র সংগঠনটির সভাপতি হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। বর্তমান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংগঠনটির প্রথম নারী সভাপতি ছিলেন। তিনি ডাকসুর জিএস থাকাকালীন সময়ে ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাতি পেয়েছিলেন।
গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্র ইউনিয়নের ৩৮তম কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে বিদায় নেয়া এই স্লোগান কন্যার কাছে আজকে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি এখন কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন?
গণজাগরণ মঞ্চের স্লোগানের মধ্য দিয়ে লাইমলাইটে আসা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক এই সভাপতি বলেন ,কমিউনিস্ট পার্টির অংগ সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির হয়ে বর্তমানে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চষে বেড়াচ্ছেন কৃষকদের সংগঠিত করতে। ইতোমধ্যে হাওর এলাকায় বেশ কিছু কাজ করেছেন। সেখানে বন্যার সময় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কৃষকদের তাদের দাবী আদায়ের বিষয়ে সচেতন এবং সংগঠিত করেছেন।
এছাড়া, হাওর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা যেখানে বন্যা হয়েছিল সেখানে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ফসলের বীজ সরবরাহ করেছেন বলে জানান এই স্লোগান কন্যা।
লাকী বলেন, তিনি এখন দেশের গ্রামাঞ্চলের নারী ও যুবকদের সংগঠিত করার কাজে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করার দৃষ্টান্ত রাজনীতি থেকে উঠে গেলেও আবার সেই কার্যক্রম জোরালো করার মাধ্যমে মানুষের মাঝে স্থান করে নিতে চান বলে জানান লাকি আক্তার।